সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

টাইটানের ‘ধ্বংসাবশেষ’ পাওয়া গেছে টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপের কাছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানের ‘ধ্বংসাবশেষ’ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড এ তথ্য জানিয়েছে।

কোস্টগার্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছেই হরাইজন আর্কটিকের দূর থেকে নিয়ন্ত্রিত যানের মাধ্যমে টাইটানের ‘ধ্বংসাবেশেষ’ চিহ্নিত হয়েছে।

এতে আরও জানানো হয়েছে, শিগগিরই কোস্টাগার্ড এ বিষয়ের বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনে জানাবে।

নিখোঁজ টাইটানের কেউই বেঁচে নেই:

আটলান্টিক সাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া সাবমেরিনে (টাইটান) থাকা পাঁচ আরোহীর কেউই জীবিত নেই।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড। একইভাবে খবরটি নিশ্চিত করেছে ওই সাবমেরিন পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ওশেনগেট’। ধারণা করা হচ্ছে, পানির প্রচণ্ড চাপে ডুবোযানটি বিধ্বস্ত হয়।

বৃহস্পতিবার টাইটানিকের কাছে ছোট আকারের সাবমেরিনটির কিছু ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করে উদ্ধারকারী দল। এরপরই খবর আসে ওই ধ্বংসাবশেষ টাইটান থেকে খুলে পড়া কিছু অংশ। তখনই অনেকটা নিশ্চিত হওয়া যায় যে টাইটান এবং ভেতরে থাকা পাঁচজনের পরিণতি। তারপরও অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কানাডা, ফ্রান্সসহ আরও কয়েক দেশের উদ্ধারকারী দল। সব তথ্য মিলিয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে টাইটানের পরিণতি সম্পর্কে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন কোস্ট গার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মাগার।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, আমাদের মনে হচ্ছে সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করতে পেরেছি।

বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে করে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড

টাইটান ধ্বংসের কারণ কী তা স্পষ্ট নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। পাঁচ অভিযাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা যাবে কি না, এ নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

এমন খবরে তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার।

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে অকালে ঝরে গেল পাঁচটি তাজা প্রাণ। বৃহস্পতিবার দুপুরেই ডুবোজাহাজের অক্সিজেন শেষ হয়ে যায়।

উদ্ধার অভিযানের শুরুতে সমুদ্রের তলদেশ থেকে শব্দ পাওয়ার পর যাত্রীরা জীবিত আছেন বলে আশা জেগেছিল। পরে বিশেষজ্ঞরা জানান, এই শব্দ নিখোঁজ সাবমেরিন থেকেই যে এসেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

২৩ হাজার পাউন্ড ওজনের এবং ২২ ফুট দীর্ঘ টাইটানের মালিক ওশেনগেট এক্সপেডিশন্স নামের কোম্পানি।পর্যটকবাহী সাবমেরিনে যারা ছিলেন তাদের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন– ৫৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হার্ডিং, ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ (১৯), ওশেনগেটের প্রধান নির্বাহী ৬১ বছর বয়সী স্টকটন রাশ। পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, ৭৭ বছর বয়সী নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ডাইভার পল-হেনরি নারজিওলেট।

গত রোববার যাত্রা শুরুর একঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরই পানির উপরে থাকা মূল জাহাজের সঙ্গে ডুবোযানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর থেকে চলে উদ্ধার অভিযান। কিন্তু শেষপর্যন্ত সবাইকে হতাশ হতে হলো। টাইটানিকের মতোই একই পরিণত ঘটলো টাইটানেরও।

সূত্র: বিবিসি, সিএনএন, রয়টার্স

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION